গণযুদ্ধভারত

দিল্লির নয়ডা থেকে কমান্ডারসহ ৯ মাওবাদী আটক

প্রায় চার বছর ফেরারী থাকার পর অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ২০১২ থেকে ফেরার মাওবাদীদের এরিয়া কমান্ডার প্রদীপ কুমার সিং। শনিবার রাতে নয়ডার হিন্দোর বিহার, সেক্টর ৪৯ থেকে মাওবাদী এরিয়া কম্যান্ডার সহ আরও পাঁচ মাওবাদীকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড ৷ এএনআই সূত্রে খবর, রবিবার ভোরেও নয়ডা থেকে আরও তিন মাওবাদীকে গ্রেফতার করেছে এটিএস ৷

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বলছে, গত চার বছর ধরেই ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী এরিয়া কম্যান্ডার প্রদীপ কুমারকে খুঁজছিলেন তারা ৷ বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ প্রদীপ কুমার সিংয়ের নামে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ গত ছয় মাস ধরে নয়ডার সেক্টর ৪৯-এ হিন্দোন বিহারের গা-ঢাকা দিয়েছিলেন ফেরার প্রদীপ কুমার সিং ৷ নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় এটিএস-এর টিম ৷ সেখান আটক করা হয় ৬ মাওবাদীকে ৷ তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক ও ডিটোনেটর ৷ এছাড়াও মিলেছে প্রায় ছয়টি বন্দুক, ৫০ রাউন্ড গুলি ও গাড়ি ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, দলের ফান্ডের জন্য এটিএম বুথে লুঠের ছক কষেছিল মাওবাদী সদস্যরা। আর তা জানামাত্র হানা দেওয়া হয় ওই বাসায়। তিনজন সেখান থেকে পালালেও এদিন ভোরে পলাতক তিন মাওবাদীকেও ধরতে সক্ষম হয়েছে এটিএস ৷

উত্তরপ্রদেশ ATS-এর IG অসীম অরুণ জানিয়েছেন, দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মাওবাদীরা সংগঠনকে শক্তিশালী করার একটা চেষ্টা করছিল বেশ কয়েকমাস ধরেই। পুলিশ তাদের কার্যকলাপ নজরে রাখছিল।

আটককৃতদের নাম, রঞ্জিত পাসওয়ান (৩৫), কৃষ্ণ কুমার (৪২), পবন কুমার (২৫), সুনীল কুমার (২৫), শৈলেন্দ্র কুমার (৪১), সচিন কুমার (২৮), সূরজ (২২), আশিস (১৮), ব্রিজ কিশোর (২২) ও সুনীল রবিদাস (৩০)। এদের মধ্যে ৪ জন বিহারের বাসিন্দা ও বাকিরা উত্তরপ্রদেশের। বিহার ও ঝাড়খণ্ডেই এরা কার্যকলাপ চালাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “ওই ফ্ল্যাটটিতে দুই জন থাকত। বাকিরা যাওয়া আসা করত। নিজেদের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল তারা। মাঝে মাঝে বাজার দোকানও করতে যেত। ফলে মাওবাদী বলে কোনওদিনও সন্দেহ হয়নি।”

সূত্রঃ http://www.newkerala.com/news/2016/fullnews-131852.html