গত ২৪শে অক্টোবর মালকানগিরিতে এক রক্তাক্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত সিপিআই(মাওবাদী)’র শীর্ষ নেতৃত্ব বাকুরি ভেঙ্কটরমন ওরফে গনেশ সহ অন্যান্যদের মৃত্যুতে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়া অন্ধ্র-উড়িষ্যা সীমান্ত কমিটির এই সামরিক অঞ্চলে নতুন সম্পাদক হিসেবে নারী নেতৃত্বদের অন্যতম কাকারালা মাধবী(৩৪)কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক এই পদে ইতিপূর্বে জনপ্রিয় মাওবাদী নেতা দেভান্না ও আজাদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাধবীর বাড়ী অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবেরিতে। মাধবীর বাবা সুভা রাও একজন বিপ্লবী নাট্য অভিনেতা, লেখক, পরিচালক ও বিপ্লবীদের লেখক সংগঠন ‘ভিরাসাম’ এর সদস্য। তারা ২ বোন, পদ্মাক্কা ও রাধাক্কা সিপিআই(মাওবাদী)’র আগের অংশ পিপলস ওয়ার গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে এক টিভি চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে তাদের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েরা কমিউনিস্ট সাহিত্য ও বাম দর্শনে আমার চাইতেও বেশী পারদর্শী, মনযোগী ও আসক্ত ছিল’।
১০ বছর আগে কলেজে পড়াকালীন অবস্থায় কমিউনিস্ট আন্দোলনে বাবার সক্রিয় কাজে আকৃষ্ট হয়ে মাওবাদী আন্দোলনে যোগ দেন পদ্মাক্কা। এর আগে লেনিনের জীবনী নিয়ে নির্মিত মঞ্চ নাটকে তিনি বাবার সাথে অংশ নেন। ইতিপূর্বে তিনি বিভিন্ন জোনাল কমিটি গুলোতে কম্যান্ডার, ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে অতঃপর কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পান। এর মধ্যে নাল্লামালা, দণ্ডকারণ্য বনাঞ্চল, তেলেঙ্গনা, ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ডে সিপিআই(মাওবাদী)’র পার্টি দায়িত্ব এবং এর সাংস্কৃতিক, কৃষক ও যুব সংগঠনের মত গণসংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। মাধবী সম্ভবত ৬ বা ৭ম শীর্ষ মাওবাদী নারী নেতৃত্ব।