গণযুদ্ধভারত

শহীদ ২৪জন গেরিলার হত্যার বদলা নেয়ার ঘোষণা মাওবাদীদের

পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ মাওবাদীরা তুলেছিলেন বুধবারই। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মালকানগিরির এই ‘ভুয়ো সংঘর্ষের’ বদলা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মাওবাদীরা। বৃহস্পতিবার মাওবাদীদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে চিঠি দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তাঁর ছেলে এন লোকেশকে খতমের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও চিঠিটির সত্যতা সংবাদমাধ্যমের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার ভোরে অন্ধ্রের সীমানার কাছে ওড়িশার মালকানগিরিতে ওড়িশা ও অন্ধ্র পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ২৮ জন মাওবাদী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছেছে মাওবাদীদের একটি চিঠি। চিঠির নীচে সই রয়েছে মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য কমিটির মুখপাত্র শ্যামের। চিঠিতে মাওবাদীদের অভিযোগ, মালকানগিরিতে ওই হত্যালীলার পিছনে রয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। প্রথমে মাওবাদীদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর তাঁদের নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে।

২০০৩ সালে এক বার চন্দ্রবাবুর উপর হামলা চালিয়েছিলেন মাওবাদীরা। কিন্তু বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে সেই হামলার উল্লেখ করে মাওবাদীদের হুমকি, ‘‘২০০৩-এর অক্টোবরে চিত্তোর জেলার আলিপিরিতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু এ বার আর তিনি বাঁচতে পারবেন না। প্রয়োজনে আত্মঘাতী বাহিনী ব্যবহার করা হবে। কোনও পুলিশ, কোনও সেনাবাহিনী চন্দ্রবাবুকে এ বার বাঁচাতে পারবে না।’’ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণের ২৫ বছরের ছেলে মুন্নাও। বুধবার পুলিশের কাছ থেকে ছেলের মৃতদেহ নিতে এসেছিলেন রামকৃষ্ণের স্ত্রী তথা মাওবাদী নেত্রী শিরিসা ওরফে পদ্মা। তখনই তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করেছেন পদ্মা।