ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এক বনভূমিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছয় মাওবাদী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এদের কাছে অনেক ভারী অস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সূত্র। ভারতীয় পুলিশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স-সিআরপিএফ এর ইন্সপেক্টর জেনারেল সঞ্জয় লাখতারের বরাত দিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। আর অনেকের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অনুপ বার্থার।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ভারতীয় পুলিশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্সের কোবরা টিম ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে অভিযান পরিচালনা করছিলো। লাতেহার এলাকায় বুধবার তাদের তল্লাশি চলাকালে হামলার শিকার হয় তারা। পাল্টা গুলি চালালে ওই ৬ মাওবাদী নিহত হয়।
এদিকে পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অনুপ বার্থারকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানায়, ‘ওই এলাকায় ঘন বনভূমি রয়েছে। গত ১৫ বছর বা তার অনেক বেশী সময় ধরেই এটি মাওবাদীদের একটি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।’
অনুপ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে প্রায় ৪৫-৫০ মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে। পরে আমরা সেখান থেকে ছয় মাওবাদীর লাশ উদ্ধার করেছি। তারা সকলে তাদের কালো রংয়ের সেনা ইউনিফর্মে ছিল।’
একই পুলিশ কর্মকর্তা অনুপ বার্থারকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নদীর পারে ২৫ জনের মতো মাওবাদী অবস্থান করছিলেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পালিয়ে যেতে চাইলে এদের অনেকে আহতও হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় ৫শ’ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনুপ বার্থার।
উল্লেখ্য, মাওবাদীরা সরকার উৎখাতে দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধ করে আসলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই এ সংঘাতের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়। অক্টোবর মাসে ভারতীয় পুলিশের এক অভিযানে নিহত হয় ২৪ মাওবাদী। ৭০ দশকে পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ী চারু মজুমদারের নেতৃত্বে শুরু হওয়া নকশাল আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের ধারাবাহিকতায় স্থানীয়ভাবে এই মাওবাদীরা নকশাল নামে পরিচিত।